কিভাবে ওয়েবসাইট গুগলে ভালোভাবে র্যাঙ্ক করানো যায়
ওয়েবসাইট কি এবং সেখান থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় সে বিষয়ে আমরা মোটামুটি অনেকেই জানি। তবে ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য প্রথমেই যে বিষয়টি আসে,সেটা হচ্ছে ওয়েবসাইট গুগলে ভালোভাবে ব্যাংক করানো।কেননা যার ওয়েবসাইট গুগলে যত দ্রুত র্যাঙ্কিং এ আসে, তার ওয়েবসাইট থেকে তত দ্রুত ইনকাম করা যায়।
আর এই ওয়েবসাইট যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন বা গুগলে এমনি এমনি ভালোভাবে র্যাংক হয় না। এজন্য ওয়েবসাইট মালিক অথবা কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু কাজ বা উপায় অবলম্বন করতে হয়। আসুন জেনে নেই,সেই উপায়গুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য।
পোস্ট সূচীপত্রঃ-
- আপনি যেভাবে সঠিক কি ওয়ার্ড নির্বাচন করবেন উপায় সমূহ
- মানসম্মত কি ওয়ার্ড কি ওয়েবসাইটের সুফল বয়ে আনে
- সঠিক মানের এস ই ও করা কি ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
- আর্টিকেল সঠিক মানের এসইও করার উপায় গুলো কি কি
- কপিরাইট মুক্ত ইমেজ কি আর্টিকেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
- যে সকল গুনাবলী মানসম্মত আর্টিকেলের জন্য অত্যাবশ্যকীয়
- ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর কিছু উপায় সমূহ
- মানসম্মত আর্টিকেল নিয়মিত লেখা কি ওয়েবসাইট র্যাংকিং এর জন্য জরুরী
- ওয়েবসাইটের একজন সফল বাংলা আর্টিকেল লেখক এর গুন কি কি
- অনলাইনের কোন মাধ্যম দ্রুত টাকা আয়ের জন্য জরুরী
আপনি যেভাবে সঠিক কি ওয়ার্ড নির্বাচন করবেন উপায় সমূহ
গুগলে কোন আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট কে ভালোভাবে র্যাঙ্ক করানোর জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে টপিক বা বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত একটি মানসম্মত বা মূল্যবান কি ওয়ার্ড নির্বাচন করা। যেটি কোন লেখা বা ওয়েবসাইটকে গুগল র্যাঙ্ককিং এর শুরুর দিকে আনতে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যারা ওয়েবসাইটে কাজ করে থাকি, নিশ্চয়ই আমরা সকলেই জানি কিওয়ার্ড বিষয়টি আসলে কি? তারপরও আমি আপনাদের বলছি, কিওয়ার্ড হচ্ছে সেই ধরনের নির্দিষ্ট কিছু শব্দ বা শব্দের সমষ্টি যা দিয়ে কোন পাঠক কোন সার্চ ইঞ্জিন বা গুগলে তার কাঙ্খিত তথ্য জানার উদ্দেশ্যে কিছু খুঁজে থাকেন।
কী ওয়ার্ড সঠিকভাবে নির্বাচনের জন্য আপনাকে অবশ্যই google এ আপনার কাঙ্খিত কথাগুলো লিখে সার্চ দিতে হবে। তারপর কীওয়ার্ডটির এবাউট রেজাল্ট সম্পর্কে জানতে হবে ।আর এবাউট রেজাল্ট সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে টুলস বাটনের ওপর ক্লিক করতে হবে। তাহলে সেখানে আপনি কিওয়ার্ড টির এবাউট রেজাল্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। উল্লেখ্য যে,যে কি ওয়ার্ডের এবাউট রেজাল্ট কম অর্থাৎ যে কি ওয়ার্ড এর এবাউট রেজাল্ট যত কম সে কিওয়ার্ড আপনার আর্টিকেল লেখার জন্য তত উপযোগী। এছাড়া আপনি কিওয়ার্ড সার্চ দেবার পর গুগলের প্রথম পেজেই খেয়াল করতে হবে সেখানে নিউজ পেপার ওয়েবসাইট ওই কি ওয়ার্ডের বিপরীতে কতগুলো এসেছে।
সেখানে প্রথম দশটি ওয়েব সাইটের মধ্যে আপনাকে খেয়াল করতে হবে যদি নিউজ পেপার ওয়েবসাইটের সংখ্যা বেশি থাকে তাহলে সেই কিওয়ার্ড টি আপনার জন্য খুব একটা উপকারী হবে না। মানে এক্ষেত্রেও নিউজ পেপার ওয়েবসাইটের সংখ্যা যত কম থাকবে আপনার জন্য কিওয়ার্ড টি তত বেশি ফলপ্রসূ হবে। এছাড়া অন্যান্য ওয়েবসাইট সেখানে দেখা যাবে তবে সে ওয়েবসাইট গুলো আপনার এই কিওয়ার্ড এর বিপরীতে খুব বেশি বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না যতটা প্রভাব কোন নিউজ পেপার ওয়েবসাইট আপনার লেখা আর্টিকেলের উপরে বিস্তার করতে পারবে। তাছাড়া আপনি ওয়েবসাইটগুলোর ডোমেইন অথোরিটি খেয়াল করতে পারেন।
কেননা যে ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি যত বেশি সে ওয়েবসাইট তত বেশি প্রতিযোগিতা মূলক। আর যে ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি যত কম সেটা তুলনামূলকভাবে কম প্রতিযোগিতা মূলক।এছাড়া কিওয়ার্ড আরো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- উবার সাজেস্ট, কিওয়ার্ড জেনারেটর ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে,এই কি ওয়ার্ড রিসার্চ টুলগুলো ফ্রি অথবা পেইড দুই ধরনেরই হয়ে থাকে। যেখান থেকে আপনি কি ওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনার সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
মানসম্মত কি ওয়ার্ড কি ওয়েবসাইটের সুফল বয়ে আনে
আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে কোন আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখালেখি করবেন,সেটা তো নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্যে করবেন তাইনা? উদ্দেশ্যটি হতে পারে আপনার পাঠকের উপকারের জন্য। অথবা আপনার পরিশ্রম করে লেখা কনটেন্ট বা আর্টিকেল থেকে আপনার নিজস্ব কিছু সুবিধা বা উপকারের লক্ষ্যে। যেহেতু একটি মানসম্মত আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখার প্রথম শর্তই হচ্ছে মানসম্মত বা সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা। সেহেতু আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড সম্পর্কে বিশেষ কিছু জ্ঞান এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া আপনি নিশ্চয়ই জানেন,কিওয়ার্ড জিনিসটি কি?
আর আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে উপরে উল্লেখিত অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই কিওয়ার্ড জিনিসটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবার আসুন জেনে নেই,কিওয়ার্ড কত প্রকার এবং কি কি? কি ওয়ার্ড মূলত দুই প্রকার। প্রথম হচ্ছে শর্ট টেইল কিওয়ার্ড এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে লং টেইল কিওয়ার্ড। আসুন জেনে নেই শর্ট টেইল কিওয়ার্ড আসলে কি জিনিস? দুই শব্দ দ্বারা গঠিত যেকোনো কিওয়ার্ডই হচ্ছে শর্ট টেইল কিওয়ার্ড। এবং এবং তিন শব্দের অধিক শব্দ দ্বারা গঠিত কীওয়ার্ড হচ্ছে লং টেইল কি ওয়ার্ড।
এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে,আপনার লেখালেখির ক্ষেত্রে অথবা আপনার লেখাকে সাফল্যমন্ডিত করতে কোন ধরনের কি ওয়ার্ডটি আপনার জন্য জরুরী?অথবা কোন ধরনের কীওয়ার্ড টি আপনি আপনার জন্য বাছাই করবেন? সে ক্ষেত্রে বলা যায়,আপনি যদি একজন নতুন লেখক হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য লং টেইল কিওয়ার্ড বেশি উপযোগী। কেননা শর্ট টেইল কি ওয়ার্ড অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক যা আপনার সফলতাকে অনেকটাই ধীর গতি করে ফেলবে। অথবা আপনার শ্রম বিফলে যেতে পারে। যা কিনা অবশ্যই কাম্য নয়।
যেহেতু লং টেইল কিওয়ার্ড শর্ট টেইল কিওয়ার্ড এর চেয়ে কম প্রতিযোগিতা মূলক। সেহেতু আপনার টপিকের সাথে সম্পর্কিত যেকোনো লং টেইল কীওয়ার্ড আপনার জন্য বেশি উপযোগী। তবে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত নিয়ম কানুন মেনে আপনাকে কি ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। আর উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি আপনার কাঙ্খিত টপিকের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যেকোনো লং টেইল কি ওয়ার্ড নির্বাচন করেন, তাহলেই আশা করা যায় আপনার লেখা আর্টিকেল বা কনটেন্টটি google এ তাড়াতাড়ি র্যাঙ্ক করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সঠিক মানের এস ই ও করা কি ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
হ্যাঁ অবশ্যই, সঠিক মানের এস ই ও বা যথোপযুক্ত এস ই ও একটি ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাঙ্ক করানোর জন্য যথার্থ ভূমিকা পালন করে। কেননা আপনার লেখা আর্টিকেল বা কনটেন্ট সেটা যতই ভালো হোক না কেন আপনি যদি সেটাকে গুগলের নিয়ম নীতি অনুযায়ী এস ই ও না করেন তাহলে সেটা গুগল ইনডেক্সিং হতে অথবা র্যাংকিং হতে অনেক সময় লাগতে পারে যা আপনাকে বিড়ম্বনায় ফেলার কারণ হতে পারে।তাই আপনি অথবা অন্য কোন লেখক নিশ্চয়ই চাইবে না যে,তার এত পরিশ্রম করে লেখা আর্টিকেল বা কনটেন্টটি বিফলে যাক।
এজন্যই যেকোনো আর্টিকেল লিখে সেটা পাবলিশ করার আগে যথাযথ ভাবে এস ই ও করা আছে কিনা সে বিষয়টি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।এবং গুগলের নিয়ম নীতি মেনে যথাযথ এস ই ও সম্পূর্ণ করার পরই উক্ত কনটেন্টটি পাবলিশ করতে হবে। কেননা যে আর্টিকেল বা কনটেন্ট এর এস ই ও এর মান যত বেশি উন্নত সেই কন্টেন্ট গুগলে র্যাঙ্ক করা ততো বেশি সহজ। এজন্য আপনাকে অবশ্যই যে কোন কনটেন্ট যথাযথ ভাবে এস ই ও করার নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে যা আপনার লেখাকে অনেক বেশি ফলপ্রসু করে তুলবে।
আরো পড়ুনঃ -
আর্টিকেল সঠিক মানের এস ই ও করার উপায় গুলো কি কি
আপনি নিশ্চয়ই জানেন এস ই ও জিনিসটি অথবা বিষয়টি আসলে কি। তারপরও হয়তো অনেকেই না জেনে থাকতে পারেন। আসুন তাহলে জানা যাক এস ই ও কি বা কাকে বলে? এটি হচ্ছে এক ধরনের ওয়েবসাইট,যেই ওয়েবসাইটে পাঠক অথবা পাঠকগণ তাদের কাঙ্খিত তথ্য জানার জন্য সার্চ করে থাকেন।যেমন google, বিং,ইয়াহু,ফেসবুক,ইউটিউব ইত্যাদি। যার পূর্ণরূপ হচ্ছে-"সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)"। তবে এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য অথবা মানসম্মত এস ই ও করার জন্য আপনাকে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। আসুন জেনে নেই,সেই উপায়গুলো সম্পর্কে।
যে উপায়গুলো আপনার আর্টিকেলের যথাযথ এস ই ও সম্পন্ন করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। যথাঃ-
- টপিকের সাথে সম্পর্কিত সঠিক বা উপযুক্ত কিওয়ার্ড নির্বাচন
- এস ই ও ফ্রেন্ডলি টাইটেল নির্বাচন
- এস ই ও ফ্রেন্ডলি ইউ আর এল (URL) নির্বাচন
- সঠিক মেটা ডেসক্রিপশন লেখা
- বিভিন্ন ধরনের লিংক যেমন- ইন্টারনাল বা এক্সটার্নাল লিংক ব্যবহার করা
- ফোকাস কি ওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার
- কপিরাইট মুক্ত বা কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যবহার করা
- ফোকাস কিওয়ার্ডের যথোপযুক্ত ব্যবহার করা
- বিভিন্ন ধরনের ব্যাকলিংক ব্যবহার করা
- তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল বা কনটেন্ট লেখা ইত্যাদি।
কপিরাইট মুক্ত ইমেজ কি আর্টিকেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
জি অবশ্যই,কপিরাইট মুক্ত বা কপিরাইট ফ্রী ইমেজ আর্টিকেলের জন্য বহু গুরুত্ব বহন করে। আমরা নিশ্চয়ই আর্টিকেলে ইমেজ ব্যবহার সম্পর্কে জানি। কেননা আর্টিকেলের সাথে সম্পর্কিত কোন ইমেজ আমাদের আর্টিকেলের ভাবধারাকে যথাযথভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে এক অর্থপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা কিনা লেখক এর লেখাকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তোলে। এবং পাঠকের সামনে লেখক এর লেখাকে জীবন্ত ভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কপিরাইট মুক্ত ইমেজ আমরা কিভাবে পেতে পারি?
আসুন জেনে নেই,কিভাবে আমরা কপিরাইট ফ্রি ইমেজ আমাদের আর্টিকেলে ব্যবহার করতে পারি? এজন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে এ আই (AI) এর সহায়তা নিতে হবে। আপনার কনটেন্টের এর সাথে সম্পর্কিত যেকোনো ইমেজ তৈরি করার জন্য আপনি এ আই এর বিভিন্ন ধরনের টুল ব্যবহার করে সেটাকে মনের মত করে তৈরি করতে পারেন। তারপর যদি সেই ইমেজ আপনি আপনার কনটেন্টে ব্যবহার করেন,তাহলে সেটা সম্পূর্ণ কপিরাইট ফ্রি বা কপিরাইট মুক্ত ইমেজ হিসেবে গণ্য হবে।যা আপনার ওয়েবসাইটে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। এবং আপনার ওয়েবসাইট গুগল রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে
যে সকল গুনাবলী মানসম্মত আর্টিকেলের জন্য অত্যাবশ্যকীয়
আমরা যারা আর্টিকেল লেখালেখির কাজ করে থাকি। অবশ্যই আর্টিকেলের গুণগত মানের দিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক। আমাদের লেখা কনটেন্ট বা আর্টিকেলটি যদি পাঠকের কাছে মানসম্মত বলে গণ্য না হয় তাহলে পাঠক সেই আর্টিকেল বা কনটেন্টটি পড়ে খুব একটি সুধারণা পোষণ করেন না।যা কিনা কোন ওয়েবসাইটের জন্য নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।অর্থাৎ পাঠকের উক্ত ওয়েবসাইটের প্রতি এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে,যা কিনা পাঠককে অন্য ওয়েবসাইটের দিকে আকৃষ্ট করে। তাই ওয়েবসাইটের যেকোনো আর্টিকেলকে মানসম্মত করার জন্য কিছু গুণাবলী আবশ্যক।
আসুন জেনে নেই,কোন কোন গুণাবলী লেখক এর লেখাকে আরো বেশি প্রাণবন্ত বা মানসম্মত করে তোলে,যা কিনা পাঠক হৃদয়ে ইতিবাচক ধারণার সঞ্চয় করে-
- যেকোনো কনটেন্ট বা আর্টিকেল অবশ্যই উপযুক্ত তথ্যসম্পন্ন বা তথ্যবহুল হতে হবে
- অন্যান্য লেখকের সাধারণ কনটেন্টের চেয়ে কিছুটা ভিন্নমাত্রা যোগ করতে হবে
- লেখার মাঝে থাকা ভুল ত্রুটি অবশ্যই সংশোধন করতে হবে
- পাঠকের জন্য সহজ এবং সাবলীল ভাষা কন্টেন্টের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে
- কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত চিত্র বা ছবি ব্যবহার করা যেতে পারে
- এস ই ও ফ্রেন্ডলি নীতিমালা অবশ্যই কনটেন্টে প্রয়োগ করতে হবে
- অপ্রাসঙ্গিক তথ্য বা বিবৃতি কনটেন্টে উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ -
ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর কিছু উপায় সমূহ
ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর বর্তমান যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা অনলাইন ব্যবসা, ব্লগার,ইউটিউবার এবং ফ্রিল্যান্সার সহ সব ধরনের ওয়েবসাইট মালিক বা কর্তৃপক্ষের জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়। ওয়েবসাইটের ভিজিটর হল সেই ব্যক্তি বা ব্যবহারকারী যারা কিনা,ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন একটি নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিন বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তাদের কাঙ্খিত কিওয়ার্ড দিয়ে কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ বা কনটেন্ট দেখে থাকেন। আর সকল ভিজিটররাই বিভিন্ন উদ্দেশ্য যেমন- তথ্য সংগ্রহ,পণ্য ক্রয়,সেবা ব্যবহার করা,বিনোদন নেওয়া ইত্যাদির জন্য ওয়েবসাইটে ভিজিট করে থাকেন।
আর ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যা,গুণমান যেকোনো ওয়েবসাইটের সফলতা,ব্যবসায়িক বৃদ্ধি নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ ভূমিকা পালন করে।কেননা যে ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যা যত বেশি সে ওয়েবসাইটের গুগলে র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা তত বেশি। আর ওয়েবসাইট google র্যাঙ্ক করা মানেই কাঙ্খিত উদ্দেশ্য সফল হওয়া। তবে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিটর কিন্তু এমনি এমনি বাড়ে না। এজন্য পরিশ্রম করতে হয় এবং কিছু বিশেষ উপায় অবলম্বন করতে হয়।আসুন কিছু উপায় জেনে নেই-
- কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত জনপ্রিয় কিওয়ার্ড খুঁজে ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে হবে
- সঠিকভাবে টাইটেল,হেডিং,এবং মেটা ট্যাগ ব্যবহার করে কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে হবে।
- অন পেজ এস ই ও ভালোভাবে করতে হবে
- সর্বজন সমর্থিত বিষয়াদি নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা বেশি করতে হবে
- প্রতিনিয়ত মানসম্মত এবং তথ্যসমৃদ্ধ কনটেন্ট প্রকাশ করতে হবে ইত্যাদি।
মানসম্মত আর্টিকেল নিয়মিত লেখাকি ওয়েবসাইট র্যাংকিং এর জন্য জরুরী
জি,অবশ্যই প্রতিনিয়ত মানসম্মত এবং তথ্যসমৃদ্ধ কনটেন্ট প্রকাশ করা একটি ওয়েবসাইট যে কোন সার্চ ইঞ্জিনে বিশেষ করে google এ র্যাংকিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা যে ওয়েবসাইটের গুণগতমান বেশি সেই ওয়েবসাইটে তুলনামূলকভাবে ভিজিটরের সংখ্যাও বেশি হয়ে থাকে। আর ভিজিটরের সংখ্যা বেশি হলে ওয়েবসাইটটি গুগলের তত্ত্বাবধানে আসার সম্ভাবনা অধিক। যা কিনা একটি ওয়েবসাইটকে খুব সহজেই র্যাংকিং এ নিয়ে আসে।
তবে মানসম্মত আর্টিকেল বলতে শুধুমাত্র তথ্যসমৃদ্ধ কনটেন্ট প্রকাশ করা নয়। এর যথার্থ অর্থ হচ্ছে- এস ই ও ফ্রেন্ডলি নিয়ম নীতি অনুসরণ করা, অন্যের ছবি বা তথ্য চুরি না করা, গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া,কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যবহার করা, জনপ্রিয় কিওয়ার্ড ব্যবহার করা ইত্যাদি। সুতরাং বলা যায় উল্লেখিত নিয়ম-নীতি মেনে প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে কোন আর্টিকেল বা কনটেন্ট প্রকাশ করতে থাকলে সেটা খুব তাড়াতাড়ি গুগলে র্যাংকিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ওয়েবসাইটের একজন সফল বাংলা আর্টিকেল লেখক এর গুন কি কি
ওয়েবসাইটের যেকোনো কনটেন্ট লেখাকে প্রাণবন্ত করে পাঠকের সামনে উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নেবার জন্য একজন লেখক কে অবশ্যই কিছু বিশেষ গুণের অধিকারী হতে হয়। যা তার লেখাকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লেখককে অবশ্যই বাংলা ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। লেখার ভাষাকে সর্বজন স্বীকৃত এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের বোধগম্য হতে হবে। অর্থাৎ লেখাকে অবশ্যই সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে। পাঠক হৃদয়ে কোনভাবে আঘাত করে বা কোন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ তৈরি করে এমন কোন কথা কনটেন্টে উল্লেখ করা যাবে না।
লেখাকে অবশ্যই পাঠকের জন্য উপযোগী এবং তথ্যবহুল করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর পাঠক কে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত তথ্যসমৃদ্ধ কন্টেন্ট প্রকাশ করতে হবে। যা কিনা লেখক এর লেখা এবং ওয়েবসাইটকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে। লেখাকে সাফল্যমন্ডিত করতে বা নিজেকে একজন সফল লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে,লেখার মাধ্যমেই পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হবে। যা কিনা লেখক কে শুধু একজন লেখক নয়,একজন সফল লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলবে।
আরো পড়ুনঃ -
অনলাইনের কোন মাধ্যম দ্রুত টাকা আয়ের জন্য জরুরী
উপসংহারঃ আমরা লেখক হই অথবা যেকোনো শ্রেণী পেশার মানুষই হয় না কেন,আমরা সকলেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে টাকা উপার্জন করার উদ্দেশ্যেই কাজ করে থাকি। আর এই টাকা আয়ের উদ্দেশ্যেই আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন পথ বা পেশা অবলম্বন করে থাকি। তবে শুধু পরিশ্রম করলেই যে, কাঙ্ক্ষিত অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয় সেটা কিন্তু নয়। বর্তমান যুগে আমরা সাধারণত দুটি উপায়েই টাকা আয় করে থাকে থাকি। প্রথমত অফলাইন মাধ্যম এবং দ্বিতীয়ত অনলাইন মাধ্যম।অফলাইন মাধ্যম সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি। তবে অনলাইন এমন একটি মাধ্যম,যার কিছু ক্ষেত্র থেকে দ্রুত কাঙ্খিত অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়ে থাকে।
আসুন জেনে নেই,সেই ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য-ডিজিটাল মার্কেটিং,সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং,ব্লগিং,ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট থেকেও দ্রুত টাকা আয় করা সম্ভব। তবে এজন্য অবশ্যই যথোপযুক্ত জ্ঞান এবং পারদর্শিতা থাকা আবশ্যক। আপনি উল্লেখিত এক বা একাধিক পন্থা অবলম্বন করতে পারেন দ্রুত টাকা আয় করার উদ্দেশ্যে। তবে আমি মনে করি,মানসম্মত কনটেন্ট রাইটিং আপনার জন্য সবচাইতে বেশি সহজ এবং সহায়ক হিসেবে কাজ করবে,আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে।
অনুভবের কথার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url