রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে
আপনি কি আপনার শিশুর শারীরিক সমস্যা বা রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? ভাবছেন কোন ডাক্তার কে দেখাবেন বা রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে? ভাবছেন ডাক্তারের ডিগ্রীই বা কি কি এবং কোন ডাক্তারকে দেখালে আপনার বাচ্চার সঠিক রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা পাবেন?
তাহলে আর কোন দুশ্চিন্তা নয়! আপনার প্রয়োজনের সময়ে রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে আপনি সহজেই হাতের নাগালে কখন, কিভাবে পাবেন তার সমস্ত উত্তর এবং আপনার কাঙ্খিত সমাধান পেতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ-রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে
- রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম কি
- রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ডিগ্রী কি কি
- রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারসমূহের সময়সূচী
- রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কোন কোন রোগের চিকিৎসা দেন
- রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিজস্ব কর্মস্থলের বর্ণনা
- নবজাতকের যত্নে রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
- শিশুদের খাবারের বিষয়ে রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম কি
রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগের মধ্যে একটি অন্যতম বিভাগ। আর এই বিভাগীয় শহরেই শিশুদের বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় এবং তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনেক অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সেবা দিয়ে থাকেন। তবে এতসব ডাক্তারের মাঝে আপনি যদি আপনার বাচ্চা বা আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তার সঠিক রোগ নির্ণয় এবং সুচিকিৎসার জন্য উচ্চমানের ডিগ্রিধারী সেরাদের সেরা একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আপনার প্রয়োজনের সময়ে সহজেই হাতের নাগালে পেতে চান তাহলে যে নামটি না বললেই নয়-
তিনি আর কেউ নন, তিনি এই রাজশাহীরই কৃতি সন্তান এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের স্বনামধন্য বিভাগীয় প্রধান "অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ ইমদাদুল হক (দুলাল)"। তিনি একজন নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী জন্ম থেকে শুরু করে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত একজন মানব সন্তানকে শিশু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর তিনি এই জন্ম থেকে শুরু করে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত রোগীদের সকল ধরনের রোগের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ডিগ্রী কি কি
রাজশাহীতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা দেবার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেবা প্রদান করে থাকলেও এখানে রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সমূহের মধ্যে অন্যতম সেরা ডাক্তার "অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ ইমদাদুল হক দুলাল" এর ডিগ্রী সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর তিনি নবজাতক শিশু ও কিশোর রোগীদের সকল প্রকার রোগ নির্ণয় এবং রোগের বিশেষজ্ঞ মানের চিকিৎসা দেবার লক্ষ্যে নবজাতক, শিশু এবং কিশোর রোগের ওপরে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে আরো উচ্চতর অনেক ডিগ্রী অর্জন করেন। ওনার ডিগ্রি সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো-
"অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ ইমদাদুল হক (দুলাল)"
এমবিবিএস, বিসিএস(স্বাস্থ্য), পিএইচডি(শিশু স্বাস্থ্য-ইউ,কে), এমপিএইচ, ডিসিএইচ, এফ আর এস এইচ (ইউকে), ফেলো ইন পেডিয়েট্রিক নিউট্রিশন- বোস্টন ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাজ্য)
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান" - শিশু বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল রাজশাহী (এক্স)।
"Professor Dr.Md.Imdadul Haque (Dulal)"
MBBS, BCS(Health), PhD(Child Health-U.K), MPH, DCH, FRSH(U.K) Fellow in paediatric Nutrition (Boston University- Juktorajjo)
"Professor and Departmental Head of Paediatric"
Rajshahi Medical College and Hospital Rajshahi (R.M.C.H-Ex)
রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারসমূহের সময়সূচী
স্বনামধন্য "অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ ইমদাদুল হক (দুলাল)" শুধু রাজশাহীতে নয়, তিনি রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা এবং রাজশাহীর বাইরেও নবজাতক, শিশু এবং কিশোর রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় এবং রোগের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সপ্তাহের বিভিন্ন দিন বিভিন্ন জায়গায় চেম্বার করে থাকেন। নিচে ওনার চেম্বার সমূহের তালিকা এবং সকল চেম্বারের সময়সূচী উল্লেখ করা হলো। তবে বর্তমানে, সপ্তাহের সাত দিন উনি ওনার নিজ বাসভবন, পুঠিয়া, রাজশাহীতে নবজাতক, শিশু এবং কিশোর রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। আসুন জেনে নেই, ওনার নিজ বাসভবনের বাইরেও যে সকল চেম্বার সমূহে উনি নিয়মিত রোগী দেখছেন-
১। "বাইতুর রিদওয়ান"
প্রতিদিন "বাদ আছর হতে সন্ধ্যা ৭ টা" পর্যন্ত
শুক্রবার সকাল "৯ টা - বেলা ১২ টা" এবং "বাদ আছর হতে সন্ধ্যা ৭ টা"
ওনার নিজস্ব বাসভবন, পুঠিয়া স্টেডিয়াম রোড সংলগ্ন, পুঠিয়া, রাজশাহী
সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন-
০১৩০৫-২৭০৩৪৯
০১৭৪৭-০৬২৯১৪
০১৯১৪-৮৭৪৮৮১
২। ডক্টরস ল্যাব এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার
"বেলা ১২ টা - বিকেল ৪ টা" পর্যন্ত
গোডাউন মোড়, ভবানীগঞ্জ বাজার, বাগমারা, রাজশাহী
সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন-
০১৩০৫-২৭০৩৪৯
০১৭৭২-৮৩৭৪২০
৩। স্পন্দন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার
"সকাল ৯ টা - বেলা ১২ টা" পর্যন্ত
নাটোরের সি,এন,জি স্ট্যান্ড সংলগ্ন, তাহেরপুর পৌরসভা, বাগমারা রাজশাহী
সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন-
০১৩০৫-২৭০৩৪৯
০১৭৩৭-২৬৭৮৪৪
৪। ইউনিক ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটাল
প্রতি রবিবার, সোমবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার
বেলা "৯ টা - দুপুর ২" টা
বড় হরিশপুর গোল চত্বর সংলগ্ন, নাটোর সদর, নাটোর
সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন-
০১৩৩৯-৩৬৬১১৭
০১৭৫৩-০৬৭৪৭৪
৫। আমজাদ খান চৌধুরী মেমোরিয়াল হসপিটাল
প্রতি রবিবার, সোমবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার
সকাল "৮ টা - বেলা ১১ টা"
চাঁনপুর গোরস্থান সংলগ্ন, নাটোর সদর" নাটোর
সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন-
০১৩০৫-২৭০৩৪৯
০১৭৭২-৮৩৭৪২০
০১৯১৪-৮৭৪৮৮১
এছাড়া ডাক্তারের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করতে ফলো এবং সাবস্ক্রাইব করুন
Facebook Page--- Dr Haque's Health Tips BD (Please Follow - প্লিজ ফলো)
Youtube Channel-- Dr.Imdadul Haque (Please Subscribe - প্লিজ সাবস্ক্রাইব)
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল এবং বিভিন্ন নার্সিং কলেজে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন।
আরো পড়ুনঃ-
রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কোন কোন রোগের চিকিৎসা দেন
যেহেতু "অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ ইমদাদুল হক (দুলাল)" একজন নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগ বিশেষজ্ঞ-তিনি নবজাতক, শিশু এবং কিশোর রোগীদের ক্ষেত্রে প্রায় সকল ধরনের রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো যেমন-নবজাতকের ওজন স্বল্পতা, রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস, খিচুনি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এছাড়া শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে সর্দি, কাশি, জ্বর, হাঁপানি, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা এবং পেটের অন্যান্য রোগ, মেনিনজাইটিস, থ্যালাসেমিয়া এবং আরো অন্যান্য ধরনের জটিল এবং কঠিন রোগের সুচিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন।
রোগীদের বিভিন্ন প্রকার জটিল রোগ এবং জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে ওনার বিভিন্ন চেম্বার সমূহের সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশে তিনি নিজ তত্ত্বাবধানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে তিনি বড়দের হাঁপানি এবং অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সেবাও প্রদান করে থাকেন। একমাত্র আল্লাহর দয়া এবং ওনার চিকিৎসা সেবা এবং নিবিড় পরিচর্যায় শতকরা অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনি শুধু রাজশাহীতেই নন, বিগত দিনে রাজশাহীর বাইরেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন এবং শিক্ষকতা করেছেন।
রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিজস্ব কর্মস্থলের বর্ণনা
রাজশাহীর কৃতি সন্তান এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের স্বনামধন্য "অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ ইমদাদুল হক (দুলাল)" রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটাল এর পেডিয়েট্রিক ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত থাকার পর তার সরকারি চাকুরী জীবনের অবসান ঘটান। বর্তমানে তিনি নিজ উদ্যোগে সপ্তাহের সাত দিন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন চেম্বারে নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগীদের প্রায় সকল ধরনের রোগের সুচিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া তিনি ওনার কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে স্বনামধন্য শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেছেন।
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটালে পেডিয়েট্রিক ডিপার্টমেন্টের অর্থাৎ শিশু বিভাগের সর্বপ্রথম প্রফেসর এবং ডিপার্টমেন্টাল হেড হিসেবে তিনি নিয়োজিত হন। তিনি সেখানে দীর্ঘদিন অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তারপর তিনি আবার তার নিজ জেলার নিজ মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটাল অর্থাৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটাল, রাজশাহীতে শিশু বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত থাকার পর সরকারি চাকুরী জীবনের অব্যাহতি নেন। তিনি বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হসপিটালেও শিশু বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে বিভিন্ন ধরনের সম্মাননা পদকে ভূষিত হন।
নবজাতকের যত্নে রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
একজন শিশু জন্মের পর মুহুর্ত থেকে শুরু করে ২৮ দিন বয়স পর্যন্ত নবজাতক হিসেবে বিবেচিত হয়। জন্মগতভাবেই অনেক শিশুদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা এবং বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। যা শিশুর জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে শিশুদের জীবনের এই সময়ে অভিভাবকের বিশেষ কিছু সর্তকতা এবং সুচিকিৎসা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুর শারীরিক জটিলতা এবং মৃত্যুর কারণ কে রোধ করতে অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে। আসুন জেনে নেই, রাজশাহীর সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই সময়ে বাচ্চার কোন ধরনের যত্ন বা সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় সেই বিষয়ে কিছু তথ্য-
- বাচ্চার জন্মের সাথে সাথে এক মিনিটের মধ্যে কান্না করেছে কিনা এই বিষয়টি গভীর মনোযোগের সাথে খেয়াল করতে হবে
- বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে কিনা খেয়াল করতে হবে
- বাচ্চার গায়ের রং স্বাভাবিক আছে কিনা অর্থাৎ হালকা গোলাপি ভাব আছে কিনা খেয়াল করতে হবে
- বাচ্চা জন্মের পর তার গায়ের রং যদি ধীরে ধীরে কালো অথবা নীল হতে শুরু করে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে
- বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ শক্তি দিয়ে টেনে খায় কিনা খেয়াল রাখতে হবে
- বাচ্চা অতিরিক্ত কান্নাকাটি বা কোনরকম অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি করে কিনা খেয়াল করতে হবে
- বাচ্চার গায়ের রং স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে যায় কিনা খেয়াল রাখতে হবে
- ওপরে উল্লেখিত সমস্যার সমূহের এক বা একাধিক সমস্যা যদি বাচ্চার দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ-
শিশুদের খাবারের বিষয়ে রাজশাহীর সেরাদের সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
সাধারণত বাচ্চা জন্মায় সাথে সাথেই বাচ্চার গার্জিয়ান এমনকি বাচ্চার মা বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কেউ কেউতো আবার অতিমাত্রার উৎসাহী হয়ে বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধের বাইরে অন্যান্য খাবার যেমন চিনি মিশ্রিত পানি, মধু, গরুর দুধ ইত্যাদি দিয়ে থাকেন। যা মোটেও উচিত নয়। কেননা একজন নবজাতকের প্রথম এবং প্রধান খাবারই হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। একজন নবজাতক জন্মের পরে বা শিশুকে কোন ধরনের খাবার দিতে হবে, আসুন জেনে নেই সে ব্যাপারে রাজশাহীর সেরাদের সেরা একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।
বাচ্চার জন্মের পর, বাচ্চাকে কখনোই মায়ের বুকের দুধের বাইরে অন্য কোন খাবার দেওয়া উচিত নয়। বাচ্চার সুস্থতা, স্বাভাবিক বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবকিছুর জন্যই প্রয়োজন মায়ের বুকের দুধ। কেননা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা মায়ের বুকের দুধে এমন কিছু পুষ্টি গুনাগুন দিয়ে তৈরি করে দিয়েছেন, যা পৃথিবীর অন্য কোন খাবারে নেই। যদি এক কথায় বা এক বাক্যে বলা যায় তাহলে, "মায়ের বুকের দুধের বিকল্প অথবা সমকক্ষ অথবা শ্রেষ্ঠ কিছুই নেই"। তাই বাচ্চার জন্মের সাথে সাথে অথবা সর্বোচ্চ আধা ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ পান করান।
যদি কোন নবজাতক জন্মের পর কোন কারণবশত মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে ব্যর্থ হয় সে ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আর বাচ্চার বয়স যখন ৬ মাস পার হবে তখন বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পারিবারিক খাবারের অভ্যস্ত করে গড়ে তুলুন। কেননা বাচ্চার বেঁচে থাকার জন্য অর্থাৎ বাচ্চার স্বাভাবিক শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি এবং একজন সুস্থ সবল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পারিবারিক খাবারের কোন বিকল্প নেই। আর পারিবারিক খাবার বলতে পরিবারের অন্যান্য বড় সদস্যরা যে খাবার খেয়ে জীবন-যাপন করেন সাধারণত সেই খাবারকেই বোঝানো হয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-ডাল, ভাত, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, কলিজা, ডিম ইত্যাদি।
অর্থাৎ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঠিক যে যে খাবার খেয়ে বেঁচে থাকেন, বাচ্চার ৬ মাস বয়সের পর থেকে ঠিক সেই খাবারগুলোতেই বাচ্চাকে অভ্যস্ত করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ এবং পারিবারিক খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ফল খাওয়াতে পারেন। তাই বাচ্চার স্বাভাবিক বিকাশ এবং সুস্থতার জন্য শুধু বাচ্চার মা-ই নয়, বরং পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সচেতন হওয়া উচিত। কেননা আজকের শিশুরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
অনুভবের কথার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url