জীবনে কোটিপতি হবার বাস্তবমুখী কিছু উপায়
মানুষ সামাজিক জীব।আর এই সংঘবদ্ধ সামাজিক জীবনে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য চাহিদা অপরিসীম।আর মানুষের জীবনের সকল চাহিদা পূরণের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে অর্থ সম্পদ বা টাকা। কেননা টাকাই মানুষের জীবনকে সহজ ,সুন্দর এবং মানসম্মত করে তুলতে সাহায্য করে।
মানুষের জীবন চলার পথে কখনও কখনও এমন করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়,তখন মনে হয় টাকা ছাড়া জীবন অচল। আপনিও যদি জীবনকে মানসম্মত করে সাজাতে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখেন,তাহলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পড়ুনঃ-
পোস্ট সূচীপত্রঃ-জীবনে কোটিপতি হবার বাস্তবমুখী কিছু উপায়
- যেভাবে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায়
- জীবনে কোটি টাকা আয় এর লক্ষ্য নির্বাচন করবেন যেভাবে
- অনলাইন থেকে অঢেল টাকার মালিক হব কিভাবে?
- কোটিপতি হবার আশায় আগে মিতব্যয়ী হবেন যেভাবে
- জীবনে কোটিপতি হবার গোপন পথ যেভাবে খুঁজবেন
- কোটিপতি হবার জন্য নিজেকে গোছাবেন যেভাবে
- টাকার পাহাড় গড়ার আগে ঋণ মুক্ত থাকবেন যেভাবে
- অঢেল সম্পদ খরচ করবেন যেভাবে
- অঢেল সম্পদ রক্ষার্থে বিলাসিতা পরিহার করবেন যেভাবে
- অঢেল টাকা আয় করে সঠিক বিনিয়োগ করবেন যেভাবে
- ছোট খাটো ব্যবসা থেকে কোটিপতি হবার পথ কি?
- কোটিপতি হওয়াই কি জীবনের সুখের চাবি কাঠি?
যেভাবে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায়
যেহেতু টাকাই মানুষের জীবনকে মানসম্মত করে সাজাতে বা উপভোগ করতে সাহায্য করে সেহেতু প্রথমেই টাকার প্রাচুর্যতা বা পর্যাপ্ততার প্রসঙ্গটি চলে আসে। আর এই টাকার প্রাচুর্যতা কারো কাছে কিন্তু এমনি এমনি আসে না সেটাকে আয় বা উপার্জন করে নিতে হয়। অর্থাৎ টাকা আয় করতে হয়। তবে টাকা অর্জন করা কিন্তু সহজ কথা নয়। এজন্য বিনিয়োগ এবং পরিশ্রম করতে হয়। আর এই অর্জনের ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ এবং পরিশ্রম করার আগে দেখতে হয় একটি সম্ভাবনার স্বপ্ন।
যে স্বপ্ন মানুষকে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে বা কোটিপতি হবার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়।তবে উত্তরাধিকার সূত্রে যারা অঢেল ধন সম্পদ বা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে থাকেন,হয়তো তাদের ক্ষেত্রে সেই স্বপ্ন, বিনিয়োগ এবং পরিশ্রমটা ভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তবে যাদের নিজ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কোটিপতি হতে হয় তাদের ক্ষেত্রে স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সাথে কিছু কন্ট কাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়। যে পথ অতিক্রম করার জন্য প্রয়োজন হয় নিষ্ঠার সাথে কঠিন অধ্যবসায়।
একমাত্র সঠিক বিনিয়োগ,সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কঠোর পরিশ্রম এবং কঠিন অধ্যবসায়ী
পারে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমরা এই
বিনিয়োগটা কোথায় করব এবং কিভাবে কঠোর পরিশ্রম করব? আসুন এবার সেই
বিষয়ে আপনাদের বলছি। প্রথমেই বিনিয়োগের বিষয়টা বলতে গেলে আগে মূলধনের বিষয়টা
চলে আসে। কেননা মূলধন হচ্ছে সেই বিষয় বা সেই বস্তু , আপনি যা প্রয়োগ বা
বিনিয়োগ করে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
আর শ্রম বা পরিশ্রমের বিষয়টি যদি বলতে যাই তাহলে আমরা বলতে পারি শ্রম
কিন্তু দুই প্রকার। একটি হচ্ছে পরিশ্রম আরেকটি হচ্ছে পন্ডশ্রম। শ্রম
বিনিয়োগ করার সময় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনার শ্রমটা যেন সার্থক হয়,অর্থাৎ
পরিশ্রম হয়। মানে আপনার শ্রমের বিনিময় যেন আপনি উপভোগ করতে পারন।সেই শ্রমটা যেন
আপনার বিফলে না যায়। পণ্ডশ্রম মানে হচ্ছে সেটা,যার কোন বিনিময় পাওয়া যায় না
অর্থাৎবৃথা শ্রম। তাই সে বিষয়ে আপনাকে সতর্ক বা সচেতন হতে হবে।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক আমরা আমাদের সেই বিনিয়োগ এবং শ্রম কোথায় কিভাবে
ব্যবহার করে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি বা আমাদের কোটি টাকা উপার্জন
করার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। আধুনিক যুগে এখন আমাদের কাছে কোটি টাকা আয়
করার দুটি পথ খোলা আছে।একটি হচ্ছে অনলাইন আর আরেকটি হচ্ছে অফলাইন। এই "অনলাইন এবং
অফলাইন" আপনি একই সাথে এর যে কোন একটি বা একসাথে দুটি পথ অবলম্বন করেই কোটি টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
জীবনে কোটি টাকা আয় এর লক্ষ্য নির্বাচন করবেন যেভাবে
জীবনে কোটি কোটি টাকা আয় করার জন্য বা জীবনে একজন সফল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথম একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে বা লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।কেননা একমাত্র ঐ লক্ষ্যই পারে আপনাকে কাঙ্ক্ষিত জায়গা পর্যন্ত সঠিক ভাবে পরিচালিত করে নিয়ে যেতে।জীবনে শুধু কোটি কোটি টাকা আয় করার ক্ষেত্রেই নয় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সফল হবার জন্য প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের।আর সেই লক্ষ্য শুধু আপনাকেই ঠিক করতে হবে।
লক্ষ্যহীন জীবন মহাসমুদ্রে কাণ্ডারি বিহীন একটি ভাসমান জাহাজের সাথে তুলনা করা যায়।আপনি যদি সঠিক ভাবে লক্ষ্য নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে, আপনি কখনই জীবনে সফলতার শীর্ষে যেতে পারবেননা। আপনি সামান্য কিছু পথ যেয়ে বা সফলতার কাছাকাছি যেয়েই পরাজিত হয়ে ফিরে আসবেন।কারন আপনি বুঝতে পারবেননা যে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত জায়গা থেকে ঠিক কতোটা কাছে বা কতোটা দূরে আছেন।আপনার মাঝে হতাশা বেশী কাজ করবে।যা পরাজয়ের প্রধান কারণ।
তাই জীবনে কোটিপতি হবার আনন্দ উপভোগ করতে বা নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে সমাজে গড়ে তুলতে এমন ভাবে লক্ষ্য ঠিক করুন যাতে,আপনার স্বপ্ন আপনার আশা স্বার্থক হবার পথে যতই বাঁধা বিঘ্ন আসুক না কেন,আপনার হৃদয়টা ক্ষত-বিক্ষত হোক না কেন,আপনি কিছুতেই আপনার কাঙ্ক্ষিত জায়গা থেকে সরে না দাঁড়ান।তবে মনে রাখতে হবে লক্ষ্য নির্বাচন করতে গিয়ে ভুল কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।অবশ্যই সিদ্ধান্ত বৈধ এবং সঠিক হতে হবে।
অনলাইন থেকে অঢেল টাকার মালিক হব কিভাবে?
আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা আয় করে জীবনে অঢেল সম্পদের মালিক অথবা কোটিপতি হতে
চান,সেক্ষেত্রে আপনি যে মাধ্যমগুলো থেকে টাকা আয় করতে পারবেন তার কিছু
ফলপ্রসু উপায় আপনাদের আগে নির্ধারণ করতে হবে। যদি সহজ কথায় বা এক কথায় বলতে
চাই তাহলে আমি বলব "ডিজিটাল মার্কেটিং"। এই ডিজিটাল মার্কেটিং কে আমরা কোটি কোটি
টাকার সমুদ্র বা মহাসমুদ্র বলতে পারি। কেননা এখানে একই সাথে কোটি কোটি টাকা আয়ের
অসংখ্য মাধ্যম খোলা আছে।
যদি কিছু উদাহরণ স্বরূপ আমি আপনাদের বলতে যাই তাহলে,বলা যায় শুরুতেই বলতে পারি
- ফেসবুক (Fb) মার্কেটি্ং করে
- ইউ টিউব( You Tube)-এ চ্যানেল খুলে,বিভিন্ন কনটেন্ট বা ভিডিও আপলোড করে
- বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে যেমন -ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট বা ভিডিও পাবলিশ করে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
- ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি বা আর্টিকেল রাইটিং করে
- বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স বিক্রি করে ইত্যাদি
আর যদি অফলাইন প্রসঙ্গে বলতে যাই তাহলে আমি আশা করতে পারি আপনারা অফলাইন
সম্পর্কে আগে থেকেই অনেক অনেক জানেন বা অবগত আছেন।কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ অফলাইন কর্ম ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল।তবে,আজকাল আমাদের দেশের জনগণ কিছু কিছু অংশে অনলাইন কর্ম ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।আমাদের দেশে আজকাল অবশ্য কেউ কেউ অনলাইন কর্মের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করে ফেলেছে।আমাদের অফলাইন মাধ্যমগুলো থেকে আমরা আমাদের মেধা এবং পরিশ্রমকে ব্যবহার করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত
কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতে পারি,চলুন সেই প্রসঙ্গে একটু জানি-
- উচ্চমানের বেতনে কোন মানসম্মত চাকুরী করে
- নিজে উদ্যোক্তা হয়ে বা কোন ব্যবসা শুরু করে
- শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করে
- প্যাসিভ ইনকামের কিছু ব্যবস্থা করে যেমন- বাড়ি করে বা কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করে ভাড়া দিয়ে ইত্যাদি
আরও পড়ুনঃ
কোটিপতি হবার আশায় আগে মিতব্যয়ী হবেন যেভাবে
আপনি যদি জীবনে কোটি টাকার মালিক হতে চান অথবা কোন সফল ব্যাক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে মিতব্যয়ী হতে হবে। আপনারা নিশ্চয় জানেন মিতব্যায়িতা কি বা কাকে বলে। অর্থাৎ প্রয়োজনের বাইরে কোন কিছু খরচ না করা বা অনর্থক অপচয় না করাকেই মিতব্যায়িতা বলে।তবে মনে রাখতে হবে মিতব্যায়িতা মানে কিন্তু কখনো কৃপণতা নয়।জীবনে সফলতা অর্জন করার ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হবার কোন বিকল্প নেই।কেননা অপচয়কারি জীবনের একটা সময় যেয়ে ঠিকই তার প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করে।
কেননা আপনি যদি কোটিপতি হবার আশায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে কোন জিনিসটা আপনার বেশি প্রয়োজন এবং কোন জিনিসটা প্রয়োজন নয় অথবা কোন জিনিসটা এখন না হলেও চলবে পরে প্রয়োজন সেটা বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতে পারেন বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে বা কোটি কোটি টাকার মালিক হবার স্বপ্ন পূরণে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
জীবনে কোটিপতি হবার গোপন পথ যেভাবে খুঁজবেন
আমরা সকলেই জানি বা বিশ্বাস করি আমাদের জীবন চলার পথের সকল ক্ষেত্রে আমাদের
সৃষ্টিকর্তা বা প্রতিপালকের পরম করুণা এবং দয়াই হচ্ছে আমাদের জীবনের সকল
কল্যাণের বা মুক্তির বা সফলতার একমাত্র পথ। তবে এই সফলতা অর্জন করার লক্ষ্যে
আমাদের নিজেদের কিছু করণীয় থাকে,যা আমরা আমাদের চেষ্টা বা ইচ্ছে
শক্তির মাধ্যমে অর্জন করে থাকি। তবে আমাদের সেই স্বপ্ন যাত্রার শুরুর দিকে
আমরা আমাদের চেষ্টা প্রকাশ্যে বা গোপনে দুইভাবেই করতে পারি।
সত্যি কথা বলতে জীবনে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের জন্য গোপন কোন পথ বলে কিছু নেই।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। কিন্তু
আমরা মানুষ, আমরা বড়ই হিংসা পরায়ণ বা ঈর্ষা পরায়ণ। বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে
একজন আরেকজনের উন্নতি অথবা ভালো কিছু সহজেই মন থেকে মেনে নিতে পারেনা। তাই হিংসার
বশীভূত হয়ে একজন আরেকজনের বিশাল ক্ষতি সাধন করে ফেলে।যা কারো সমগ্র জীবনটাই
ধ্বংস করে দিতে পারে।
তাই আপনি যদি জীবনের সফল হবার পথে একজন যাত্রী হয়ে থাকেন অথবা কোটি কোটি টাকা আয় করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন তাহলে সেটা যথাসম্ভব নিজের মাঝে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে যেমন আপনার শত্রু সংখ্যা কম হবে ঠিক তেমনি,আপনি অনায়াসে নিজের কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে নিরবে এগিয়ে যেতে পারবেন। অন্যথায় আপনাকে অনেক বিরম্বনার শিকার হতে পারে। যা আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথকে দীর্ঘায়িত বা কন্ট কাকীর্ণ করতে পারে।
কোটিপতি হবার জন্য নিজেকে গোছাবেন যেভাবে
আপনি যদি কোটি কোটি টাকা আয় করতে চান বা কোটি কোটি টাকার মালিক হতে চান তাহলে
সেই টাকা উপার্জন করার জন্য,সর্বপ্রথম আপনাকে নিজেকে সেভাবে তৈরি করে নিতে হবে বা
গুছিয়ে নিতে হবে। আর নিজেকে সঠিকভাবে গোছানোর জন্য আপনি যা করতে পারেন তার কিছু
বিবরণ নিচে উল্লেখ করা হলো। যা আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রধান হাতিয়ার
হিসেবে কাজ করবে।
- প্রথমেই আপনার নিজেকে বাস্তব মুখী বা কর্ম মুখী শিক্ষার আলোয় আলোকিত বা শিক্ষিত করতে হবে।
- আপনি যেই বিষয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করতে চান, আপনাকে সেই বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং আপনাকে পারদর্শী হতে হবে।
- নিয়মিত সঞ্চয় করতে হবে
- সঞ্চয় কে সঠিক খাতে বিনিয়োগ করতে হবে
- একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করতে হবে
- অন্তরে সততা রাখতে হবে
- কাজের প্রতি মনে মনে আস্থা রাখতে হবে।
- কাজের মাঝে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা আসে,বুদ্ধিমত্তার সাথে সে বাঁধা জয় করার চেষ্টা করতে হবে।
- সফলতা না আসা পর্যন্ত কাজ চালিয়েই যেতে হবে ইত্যাদি।
আপনি যদি ওপরে উল্লেখিত নির্দেশনা মেনে নিজেকে তৈরি করতে পারেন,তাহলে আশা করা যায় আপনি এক সময় যেয়ে,ঠিকই আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থানে যেতে পারবেন।তাই আর দেরি না করে এখন থেকেই নিজেকে অঢেল সম্পদ বা কোটি কোটি টাকার মালিক হিসেবে তৈরি করার জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করুন।শুরু করুন দৃঢ় সংকল্প আর কঠিন অধ্যবসায়।যেন আপনিও পরিবার,সমাজ বা দেশের একজন সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
টাকার পাহাড় গড়ার আগে ঋণ মুক্ত থাকবেন যেভাবে
আসলে ঋণ এমনি একটি শব্দ বা বোঝা যা মানুষের অন্তরের সকল সুখ,সকল শান্তি আর দু চোখের ঘুম কেড়ে নেয়।পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর সমাজে মানুষের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করে দেয়।তাই জীবনে সন্মানের সাথে বাঁচার জন্য কোটি কোটি টাকার মালিক হবার আগে বা অধিক বিত্তশালী হবার আগে একজন ঋণমুক্ত সাধারণ মানুষ হওয়া অধিক শ্রেয়।তবে জীবনে ঋণ মুক্ত থাকার জন্য আপনাকে বেশ কিছু সতর্কতা বা পথ অবলম্বন করতে হবে।
আপনাকে আপনার নিজের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবন পরিচালনা করতে হবে।মানে আপনার উপার্জন এবং খরচ একটি নির্দিষ্ট সীমারেখার মাঝেই রাখতে হবে। কেননা,মনে করুন আপনি একজন কোটি কোটি টাকার মালিক।কিন্তু আপনার সম্পদের চেয়ে যদি আপনার ঋণ বেশি থাকে,তাহলে সেই সম্পদ একটা সময় যেয়ে আপনার জীবনে আর কোন কাজে আসবে না।মানে আপনি সেটাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করার ক্ষমতা একটা সময় যেয়ে হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
অথচ আপনি যদি একজন সল্প আয়ের মানুষ হন,আর আপনার যদি কোন ঋণ না থাকে আর আপনি যদি সঠিক হিসেব করে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে জীবন অতিবাহিত করতে থাকেন,তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনি কোটিপতি যদি নাও হতে পারেন তবে,আপনিও নিজেকে সমাজের একজন প্রতিষ্ঠিত বা বিত্তবান মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারবেন।যা আপনাকে সন্মানের সাথে বেঁচে থাকার পথ সহজ করে দেবে।তাই অবশ্যই আমাদের সকলকে ঋণমুক্ত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
অঢেল সম্পদ খরচ করবেন যেভাবে
আপনি যদি কোটি কোটি টাকার মালিক অথবা অধিক ধনবান হয়ে থাকেন,আপনাকে অবশ্যই হিসেবের দিকে মনোযোগী হতে হবে।মানে আপনি কত টাকা আয় করছেন আর কত টাকা কিভাবে খরচ করছেন তার সঠিক পর্যালোচনা আপনাকেই করতে হবে।কেননা বেহিসাবি খরচ একটা সময় আপনাকে ধনী থেকে গরিব বানিয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।কেননা টাকা শুধু আয় করতে জানলে হবেনা। সেটা ধরে রাখতেও জানতে হবে।
আপনি আপনার কষ্টে উপার্জিত টাকা ধরে রাখবেন যেভাবে,চলুন তার একটি ছোট্ট উদাহরণ জেনে নেই। মনে করেন,আপনি প্রতিদিন একশ টাকা আয় করেন,তাহলে সেই টাকাকে আপনি মনে মনে তিন ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন।এক ভাগ আপনি আপনার এবং আপনার পরিবারের দৈনন্দিন কাজে খরচ করতে পারেন,একভাগ দিয়ে আপনি ঋণ থাকলে সেটা দিয়ে কিছুটা পরিশোধ করতে পারেন বা কিছু অংশ দান - সদকা করতে পারেন।আর রইল এক অংশ।
সেই বাকি এক অংশই হচ্ছে আপনার ভবিষ্যতের সঞ্চয়।যা আপনি কিছুতেই খরচ করবেন না।সম্ভব হলে প্রথম বা দ্বিতীয় অংশ থেকেও কিছুটা এই সঞ্চয়ের সাথে যোগ করে রেখে দিতে চেষ্টা করবেন।কেননা একটু একটু করে জমানো সম্পদই একদিন আপনাকে আপনার স্বপ্ন যাত্রা বা কোটি কোটি টাকা আয় করার মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।যা একদিন আপনার মুখের অনাবিল হাসির কারণ হবে।
অঢেল সম্পদ রক্ষার্থে বিলাসিতা পরিহার করবেন যেভাবে
আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা জীবনকে উপভোগ করা মানে শুধু বিলাসিতা বা অপচয়কেই বোঝে।কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে একটা সময় এই বিলাসিতা কারো কারো ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।কেননা এই বিলাসিতায় গা ভাসানো মানুষ গুলো তাদের আয়ের সাথে খরচের হিসেবটা করতে ভুলে যায়। তারা ভুলে যায়,সুসময় চিরকাল স্থায়ী নয়।তারা ভুলে যায়,অপচয় কখনও কখনও বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে,সামান্য কিছু টাকা আয় করতে কতটা পরিশ্রম কতটা সময় আর কতইনা কষ্ট করতে হয়। যারা উত্তরাধিকার সূত্রে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়,তারা হয়ত সেই কষ্টটা ততোটা ভোগ করেনা,যারা জীবনের শুন্য অথবা মাইনাস অবস্থান থেকে জীবনটাকে বাঁচাতে বা গোছাতে চেষ্টা করে থাকেন।তবে এ কথা অবশ্যই সত্যি যে,সকল টাকা অথবা ধন সম্পদই কারনা কারো কঠোর পরিশ্রম,অন্তহীন কষ্ট আর সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমেই অর্জিত হয়।
তাই সেই সম্পদ ধরে রাখতে বা রক্ষা করতে সকলকেই সচেতন থাকতে হয়। হ্যাঁ, জীবনকে অবশ্যই উপভোগ করতে হবে।তবে,সেটা একটি সুনির্দিষ্ট হিসেব বা সীমারেখার মধ্যে। আপনি জীবনকে উপভোগ করা মানে যা নয় তাই করতে পারবেন না। আপনাকে একটি সুনির্দিষ্ট পারিবারিক,সামাজিক এবং ধর্মীয় বিধি নিষেধের মধ্যে থেকে আপনার নিজস্ব আয় এবং খরচের একটি সুনির্দিষ্ট হিসেব অনুযায়ী আপনাকে জীবন উপভোগ বা পরিচালিত করতে হবে।আর এটাই হচ্ছে জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম।
আপনি যদি এই স্বাভাবিক নিয়ম মেনে আপনার জীবনকে পরিচালিত করতে পারেন তবে,আশা করা যায়,জীবনে দুর্ভোগের সন্মুখিন হবার সম্ভাবনা আপনার অনেকাংশেই কমে যায়।যেই সম্ভাবনা আপনার আগামীর জীবনকে আরও বেশী সমৃদ্ধ শালী করতে বা আপনার অর্জিত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্পদ বা সঞ্চয় সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে একটি নিশ্চয়তা তৈরি করে দেয়।সুতরাং বলা যায় সকলের সম্পদ রক্ষার্থেই বিলাসিতা বা অপচয় পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুনঃ
অঢেল টাকা আয় করে সঠিক বিনিয়োগ করবেন যেভাবে
উত্তরাধিকার সূত্রেই হোক বা নিজে কষ্ট করে উপার্জন করেই হোক,কোটি কোটি টাকা শুধু আয় করলেই হবেনা, আপনার সম্পদকে আরও বেশি বৃদ্ধি করতে সেই টাকা বা সম্পদকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার বা বিনিয়োগ করে আপনাকে আরও বেশি কার্যকরী করে তুলতে হবে।আর এই বিনিয়োগের জন্য আপনাকে কিছু নির্ভর যোগ্য ক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে। যেখানে আপনি আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা সম্পদকে আরও বেশী পরিমাণে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।
আপনার সম্পদ বিনিয়োগ করার কিছু কার্যকরী মাধ্যম বা ক্ষেত্র সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
- আপনি ছোট্ট বা বড় পরিসরে একটি নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন
- জমি অথবা স্বর্ণ কিনে রাখতে পারেন
- বাড়ি করে ভাড়া দিতে পারেন
- কোন দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেও ভাড়া দিতে পারেন
- শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করে রাখতে পারেন ইত্যাদি
এছাড়া আপনি আপনার সম্পদকে শুধু ইহকাল নয়,পরকালিন কল্যাণের কথা মাথায় রেখেও নিম্নে উল্লেখিত কিছু উপায়ে বিনিয়োগ করে রাখতে পারেন।যেমন -
- কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন
- কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন - মসজিদ, মাদ্রাসা,কবর স্থান ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করতে পারেন
- সমাজের অবহেলিত বা দরিদ্রদের জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করতে পারেন
- চিকিৎসা ব্যাবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে হাসপাতাল নির্মাণ করতে পারেন ইত্যাদি।
কেননা ধনী ব্যাক্তি বা বিত্তবানদের সহায়তাই পারে কোন একটি নির্দিষ্ট পরিবার,সমাজ,দেশ বা জাতিকে বদলে দিতে।বদলে দিতে পারে সমগ্র পৃথিবীর অনাহারে অর্ধাহারে থাকা মানুষ গুলোর দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থা।ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে সবই তো সবাইকে একদিন রেখে যেতে হবে।তাই আমরা যদি সেই কথা বা সেই দিন কে চিন্তা করি,তাহলে আমরা নিশ্চয়ই সম্পদের সঠিক ব্যবহার বা বিনিয়োগ করে আমাদের সকলের সম্পদ আরও বৃদ্ধি করতে এবং আমাদের দেশ ও জাতিকে আরও বেশি সমৃদ্ধ শালী করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
ছোট খাটো ব্যবসা থেকে কোটিপতি হবার পথ কি?
ব্যবসা এমন একটি মাধ্যম যেখান থেকে আপনি সম্পদের সঠিক বিনিয়োগ,যথার্থ জ্ঞানের যথার্থ প্রয়োগ আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনাকে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যাবে।তবে,ব্যবসা ছোট বা বড় যেটাই হোক না কেন,সেই ব্যবসা ধরে রাখতে বা সেই ব্যবসা থেকে কোটিপতি হতে হলে সর্ব প্রথম আপনার সেই ব্যবসার প্রতি যথার্থ জ্ঞান রাখতে হবে।ব্যবসায়ের প্রকাশ্য এবং গোপন বিষয়ের প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।কাজকে ভালবাসা এবং সন্মানের সাথে করে যেতে হবে।
আপনার ব্যবসা থেকে কোটিপতি হবার আশা পূরণের জন্য, আপনাকে আগে ভাল করে বুঝতে হবে আপনি আপনার ব্যবসার মাধ্যমে যে ধরণের সেবা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন সেই ধরণের সেবা আপনি সঠিক ভাবে বিনিয়োগ করতে পারছেন কিনা? অর্থাৎ আপনার বিনিয়োগক্রিত সেবার মাধ্যমে আপনি আপনার গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারছেন কিনা,সেই বিষয়টি আপনাকে ভালভাবে অবগত হতে হবে।তাহলে আপনার ছোট ব্যবসাই আপনাকে একদিন বড় করে তুলবে বিশ্বের দরবারে।
ধরুন,আপনি যদি প্রথমে একটি ছোট খাটো চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। আপনাকে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে আপনার দোকান এবং সকল জিনিস পত্রের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে।তারপর দ্বিতীয়ত আপনার,চায়ের স্বাদ এবং গুণগত মাণের দিকে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে খুব সুস্বাদু করে গ্রাহকের কাছে আপনার পণ্য বা চা তুলে দিতে পারেন তাহলে, আপনার ব্যবসা দিন দিন এমনি বাড়তে থাকবে।
মানে আপনার গ্রাহক যত বাড়বে,আপনার লাভ তত বাড়তে থাকবে।আর আপনি দিন দিন তত বেশী আপনার ব্যবসাকে বিনিয়োগ করে আরও বেশী বড় করতে পারবেন।তবে মনে রাখতে হবে,ব্যবসায়ে সততা অনেক বড় একটি মূলধন হিসেবে চিরদিন কাজ করে।এভাবেই আপনি আপনার ছোট খাটো ব্যবসাতেই সততা, কঠোর পরিশ্রম বিনিয়োগ করে কাজের সাথে লেগে থেকে সফল ব্যাক্তি বা কোটি কোটি টাকার মালিক হতে পারেন।যা আপনার জীবনকে সাফল্য মণ্ডিত করবে।
উপসংহারঃ কোটিপতি হওয়াই কি জীবনের সুখের চাবি কাঠি?
সুখ এবং টাকা এমন একটি জিনিস যার স্বাদ প্রতিটি মানুষই চায়।কিন্তু চাইলেইত জীবনে সব কিছু পাওয়া সম্ভব নয়।তাই সব কিছুর জন্যই কঠোর পরিশ্রমের সাথে চেষ্টা করতে হয়।অঢেল টাকা মানুষের জীবনকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশী সহজ আর উপভোগ্যময় করে তোলে।তবে,জীবনে শুধু কোটি কোটি টাকাই সকল সুখের মূল বা চাবি কাঠি হতে পারেনা। "সুখত" আপেক্ষিক একটা বিষয়।সেটা একেক মানুষের জীবনে একেক ভাবে ধরা দেয়।কেউবা সুখ খোঁজে দালান কোঠায়,কেউবা সুখ খোঁজে মুক্ত হাওয়ায়।
তবে সুস্থ,সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সম্পদ বা টাকা যেহেতু অপরিহার্য বিষয়,তাই সবাইকে টাকা বা সম্পদ আয় করার বিষয়ে নিজেকে সঠিক ভাবে গড়ে তুলতে হবে।দারিদ্রতার নিষ্ঠুর রোষানলে চিরকাল নিষ্পেষিত না হয়ে আপনি যেন আপনার নিজের,আপনার পরিবার,সমাজ,দেশ তথা একটি জাতিকে সভ্যতা আর সচ্ছলতার কিছু আনন্দ বয়ে এনে দিতে পারেন,সেজন্য নিজেকে সঠিক পথে উপযুক্ত করে গড়ে তুলুন।কেননা কারো জন্য কিছু করার মাঝেই জীবনের প্রকৃ্ত সুখ নিহিত।
অনুভবের কথার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url